ভাঙন রোধে কুয়াকাটা সৈকতে বালি ভর্তি জিও ব্যাগ

পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার সৈকত রায় তিন স্তরের বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফালানো হয়েছে। সৈকতের শুন্য পয়েন্ট থেকে পূর্ব ও পশ্চিমে আট শ’ মিটার এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে এ বছর অস্বাভাবিক জোয়ার ও ঢেউয়ের তান্ডবে গাছপালা ও স্থাপনাসহ প্রায় ৩০ ফুট প্রস্থ সৈকত সাগরে বিলীন হয়েছে। চরম ঝুঁকিতে রয়েছে কুয়াকাটার মূল রক্ষা বাঁধটিও। সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের তান্ডবে বাঁধের কয়েকটি পয়েন্টে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ভাঙন রোধে ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর হক্ষপে কামনা করে স্থানীয়রা একাধিকবার মানববন্ধন করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ সৈকত এলাকা এখন ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে রয়েছে। গত দশ বছরে কুয়াকাটা সৈকত লগোয়া হাজার হাজার নারিকেল গাছ, ঝাউ বনসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা ও একাধিক স্থাপনা সাগরে বিলীন হয়ে গেছে। জোয়ারের সময় সৈকতের বেলাভূমিতে এখন আর ওয়াকিং জোন থাকে না। বর্তমানে এ নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী, লগ্নিকারকসহ পর্যটকরা উৎকন্ঠা প্রকাশ করেছেন। এদিকে ভাঙ্গন রোধ করতে জরুরী ভিক্তিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড অস্থায়ীভাবে সৈকতে প্রটেশনের কাজ শুরু করেছে।

জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভাঙ্গন রোধে বারবার আশ্বাসের বানী শোনালেও অদ্যবধি কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেয়নি। সৈকত রায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে একটি উন্নয়ন প্রকল্প পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ে পাঠালেও সেটি মন্ত্রনালয় থেকে বিস্তারিত সমীার জন্য ফেরত পাঠানোয় চলতি মৌসুমে সৈকত রার উদ্যোগ অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।

মহিপুর যুবলীগ আহ্বায়ক এ এম মিজানুর রহমান বুলেট জানান, সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দর্শনের প্রসিদ্ধ স্থান খ্যাত পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার সমুদ্র সৈকত শ্রীহীন হয়ে পড়ছে। সাগরের ঢেউয়ের ঝাপটায় সৈকতের বালু ক্ষয় হয়ে বেশ কিছু গাছ পালা নষ্ট হয়ে গেছে। প্রতিনিয়ত বালু ক্ষয় হতে থাকলে সৈকত তার সৌন্দর্য্য হারাবে। তাই জরুরি ভিত্তিতে সৈকতের বালু ক্ষয় রোধ করা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।

কুয়াকাটা পৌর মেয়র আ:বারেক মোল্লা জানান, কুয়াকাটা রক্ষা বাঁধ ক্রমশই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সৈকতের ভাঙ্গন রোধে তিনি দ্রুত প্রধান মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
কলাপাড়ার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.আবুল খায়ের জানান, কুয়াকাটা সৈকতের শুন্য পয়েন্ট থেকে দুই দিকে আট শ’ মিটার এলাকা রক্ষায় জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে তিন স্তরের জিও ব্যাগ দিয়ে সাময়ীকভাবে উত্তাল ঢেউয়ের ঝাপটা প্রতিরোধে এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার

পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার সৈকত রায় তিন স্তরের বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফালানো হয়েছে। সৈকতের শুন্য পয়েন্ট থেকে পূর্ব ও পশ্চিমে আট শ’ মিটার এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে এ বছর অস্বাভাবিক জোয়ার ও ঢেউয়ের তান্ডবে গাছপালা ও স্থাপনাসহ প্রায় ৩০ ফুট প্রস্থ সৈকত সাগরে বিলীন হয়েছে। চরম ঝুঁকিতে রয়েছে কুয়াকাটার মূল রক্ষা বাঁধটিও। সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের তান্ডবে বাঁধের কয়েকটি পয়েন্টে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ভাঙন রোধে ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর হক্ষপে কামনা করে স্থানীয়রা একাধিকবার মানববন্ধন করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ সৈকত এলাকা এখন ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে রয়েছে। গত দশ বছরে কুয়াকাটা সৈকত লগোয়া হাজার হাজার নারিকেল গাছ, ঝাউ বনসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা ও একাধিক স্থাপনা সাগরে বিলীন হয়ে গেছে। জোয়ারের সময় সৈকতের বেলাভূমিতে এখন আর ওয়াকিং জোন থাকে না। বর্তমানে এ নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী, লগ্নিকারকসহ পর্যটকরা উৎকন্ঠা প্রকাশ করেছেন। এদিকে ভাঙ্গন রোধ করতে জরুরী ভিক্তিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড অস্থায়ীভাবে সৈকতে প্রটেশনের কাজ শুরু করেছে।

জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভাঙ্গন রোধে বারবার আশ্বাসের বানী শোনালেও অদ্যবধি কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেয়নি। সৈকত রায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে একটি উন্নয়ন প্রকল্প পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ে পাঠালেও সেটি মন্ত্রনালয় থেকে বিস্তারিত সমীার জন্য ফেরত পাঠানোয় চলতি মৌসুমে সৈকত রার উদ্যোগ অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।

মহিপুর যুবলীগ আহ্বায়ক এ এম মিজানুর রহমান বুলেট জানান, সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দর্শনের প্রসিদ্ধ স্থান খ্যাত পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার সমুদ্র সৈকত শ্রীহীন হয়ে পড়ছে। সাগরের ঢেউয়ের ঝাপটায় সৈকতের বালু ক্ষয় হয়ে বেশ কিছু গাছ পালা নষ্ট হয়ে গেছে। প্রতিনিয়ত বালু ক্ষয় হতে থাকলে সৈকত তার সৌন্দর্য্য হারাবে। তাই জরুরি ভিত্তিতে সৈকতের বালু ক্ষয় রোধ করা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।

কুয়াকাটা পৌর মেয়র আ:বারেক মোল্লা জানান, কুয়াকাটা রক্ষা বাঁধ ক্রমশই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সৈকতের ভাঙ্গন রোধে তিনি দ্রুত প্রধান মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
কলাপাড়ার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.আবুল খায়ের জানান, কুয়াকাটা সৈকতের শুন্য পয়েন্ট থেকে দুই দিকে আট শ’ মিটার এলাকা রক্ষায় জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে তিন স্তরের জিও ব্যাগ দিয়ে সাময়ীকভাবে উত্তাল ঢেউয়ের ঝাপটা প্রতিরোধে এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment